অনেকদিন থেকেই ঢাকা এবং সেই সাথে গোটা বাংলাদেশ এমন একটা প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিল যেখানে উদ্যোক্তা, ফ্রীল্যান্সার এবং পেশাজীবীরা একে অন্যের সাথে মিলিত হয়ে একসাথে কাজ করতে পারবে। ক্যাফেতে একসাথে বসে খাবার খাওয়ার জন্য চমৎকার পরিবেশ থাকলেও তা কাজের গতিশীলতার জন্য মোটেই উপযুক্ত পরিবেশ না। এছাড়া হোয়াইট বোর্ড এবং প্রোজেক্টর এই ধরণের জিনিসগুলো ক্যাফতে কখনই থাকে না। সর্বোপরি ঢাকার মত বড় শহরে ক্যাফে কতৃপক্ষ কখনই আপনাকে সারা দিনের জন্য ক্যাফে ব্যবহার করতে দিতে চাইবে না। আমাদের নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা হাবঢাকার যাত্রা শুরু।
সাজিদ ইসলাম তার নিজের স্টার্টআপ শুরু করার স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসেন । তখন তিনি যে জিনিসটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হল এমন একটা জায়গা যেখানে স্টার্টআপ, ফ্রীল্যান্সার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একসাথে বসে কাজ করতে পারে। এছাড়া তিনি একটা গতিময় কাজের পরিবেশ খুঁজে পেতে হিমশিম খায়। প্রায়শই তিনি অন্যের অফিসে মিটিং করতে বাধ্য হয় যা বেশিরভাগ সময় সুবিধাজনক ছিল না, ক্যাফের পরিবেশ ছিল কোলাহল পূর্ণ এবং কাজের অগ্রগতির অনুপযুক্ত। একদিন ধানমণ্ডির একটা ক্যাফেতে ১০ জনের স্বেচ্ছাসেবীদের দল নিয়ে মিটিং করার সময় তাদেরকে বের হয়ে যেতে বলা হয়ে যেহেতু তাদের খাওয়া শেষ। ঠিক তখনি সাজিদ এরকম একটা জায়গার গুরুত্ব অনুধাবন করেন। এমন কিছু যা পাশ্চাত্যের মানুষদের কাছে অনেকদিন থেকেই স্বীকৃত। ঢাকার খুব করে একটা জায়গার দরকার ছিল, এমন একটা জায়গা যেখানে মানুষ তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কাজ এবং মিটিং করতে পারবে। হাবঢাকার ধারণাটা ঠিক তখনি সৃষ্টি হয়।
|